হরপ্পা সভ্যতা থেকে মৌর্য যুগের আগে পর্যন্ত ভারতে শিল্প উল্লেখযোগ্য নয়। মগধকে কেন্দ্র করে মৌর্যযুগ থেকে ভারতীয় শিল্প-স্থাপত্যের নবরূপায়ণ শুরু হয়।
মৌর্যশিল্প কলা:
মৌর্য শাসকরা ইট, কাঠ, বাঁশ, মাটি বর্জন করে পাথরকে শিল্পের উপাদান হিসাবে গ্রহণ করেন। মৌর্য যুগের উল্লেখযোগ্য শিল্প নিদর্শন হল: পাটলিপুত্রের রাজপ্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ, বুদ্ধগয়ার বোধিমণ্ড, সারনাথের একশিলা বেষ্টনী, গয়া জেলার বারবার গুহা, নাগার্জুন পাহাড়ের গুহাবাসগুলি, লেখযুক্ত স্তম্ভগুলি ও স্তম্ভশীর্ষে জীবজন্তুর ভাস্কর্য ইত্যাদি। শিল্পরীতি প্রয়োগের দিক থেকে সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও যথাযথ। শিলালেখগুলি সুন্দর করে কাটা এবং উত্তম পালিশের ফলে অত্যন্ত মসৃণ। মৌর্যযুগের শিল্পগুলির ওপর পারস্যের প্রভাব থাকলেও এগুলি পারসিক শিল্পকলার অনুকরণ মাত্র নয়। সারনাথের সিংহচতুষ্টয় মূর্তি মৌর্যযুগের উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্য।
শুঙ্গ-কান্বদের শিল্প:
শুঙ্গ-কান্বদের শিল্প মৌর্য শিল্পের সমসাময়িক। তবে এই শিল্পকলা মৌর্যশিল্পকে অস্বীকার করেছে। এই শিল্পে দেশের বৃহত্তর জনসমষ্টির চিন্তা, আদর্শ ও সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটেছে। তৎকালীন শিল্প হিসেবে কিছু সংখ্যক যক্ষ মূর্তি উল্লেখযোগ্য। বুদ্ধের জীবন কাহিনি ছিল শুভঙ্গ শিল্পের প্রধান বহিঃপ্রকাশ। সমগ্র কাহিনিকে শিল্পীর দৃষ্টিতে দেখা হত, দর্শকের দৃষ্টিতে নয়।
স্তূপ:
রাজার মৃত্যু হলে পারলৌকিক মঙ্গল কামনায় তাঁর দেহভস্মের ওপরে স্তূপ নির্মাণ করা হত। বৌদ্ধ সাহিত্যে লিখিত আছে, বুদ্ধদেব প্রধান শিষ্য আনন্দকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, তাঁর মৃত্যু হলে যেন রাজাদের মতোই তাঁর দেহভস্মের ওপর স্তূপ নির্মাণ করা হয়। সেইমতো বৌদ্ধধর্মের আঙ্গিকে স্তূপ নির্মাণ শুরু হয়। অশোক বুদ্ধের সম্মানে ভারতের সর্বত্র প্রায় ৮৪,০০০টি স্তূপ নির্মাণ করেছিলেন। স্তূপগুলির মধ্যে সাঁচির স্তূপ সমধিক প্রসিদ্ধ, বুদ্ধগয়ার স্তূপটি বিশেষ প্রশংসার যোগ্য।
স্তূপগুলি ছিল অর্ধগোলাকৃতি গম্বুজ। স্তূপের মাথায় বিশ্বজনীন সার্বভৌমত্বের প্রতীকরূপে কাঠ বা পাথরের তৈরি ছত্র থাকত। ভারতের খুব কম সংখ্যক স্তূপ ছিল সাঁচির স্তূপের চেয়ে আয়তনে বড়ো।
চৈত্য:
বৌদ্ধমূর্তি প্রচলনের পূর্বে বৌদ্ধদের ভক্তির মূল কেন্দ্র ছিল স্তূপগুলি। এই পবিত্র স্তূপগুলিকে চৈত্য বলা হয়। পরে স্তূপের মধ্যে চৈত্য বেদির স্থান গ্রহণ করেছিল। চৈত্যগুলি আসলে ধর্মীয় উদ্দেশ্যে নির্মিত কৃত্রিম গুহা। প্রাকৃতিক উপাদানের জন্যই চৈত্য নির্মাণে পাহাড়কে আশ্রয় করা হয়েছিল। পশ্চিম ভারতের অজন্তা, বেদসা ও নাসিকের চৈত্যগুলি শিল্প ভাস্কর্যে পরিপূর্ণ।
সংঘারাম (বিহার):
সংঘারাম অর্থে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের বাসস্থান। এগুলির নির্মাণ পদ্ধতি সাধারণ বাড়ির মতো। এতে চতুষ্কোণ ঘিরে সারি সারি কুঠুরি থাকত। খ্রিস্টপূর্ব শেষ শতাব্দী ও খ্রিস্টীয় শতাব্দীর প্রথম দিকে এই সংঘারামের নির্মাণকাল। বেশি সংখ্যক সংঘারাম তৈরি হয়েছিল পাহাড় কেটে।
মন্দির:
প্রাচীন ভারতে গুপ্ত-পূর্ব সময়কালে মন্দির নির্মাণের নিদর্শন পাওয়া যায়নি। গুপ্ত যুগে ভারতে স্থাপত্যকীর্তির ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা হয়। শিল্পের উপকরণ হিসাবে ইট ও পাথরের ব্যবহার শুরু হয়। গুহাগুলি মূর্তি পূজার পক্ষে অনুকূল না হওয়ায় এই সময়ে মন্দির নির্মাণ শুরু হয়। আকার ও নির্মাণশৈলীতে মন্দিরগুলি ছিল বৈচিত্র্যপূর্ণ। পরবর্তীকালে নির্দিষ্ট শিল্পবোধকে কেন্দ্র করে মন্দিরগুলি নির্মাণ করা হয়েছিল।
গান্ধার শিল্প:
শক-কুষাণদের আমলে ভারতীয় শিল্পের অগ্রগতি অব্যাহত ছিল। গান্ধার অঞ্চলে গ্রিক, রোমান ও ভারতীয় শিল্পের মিশ্রণে এক নতুন শিল্পের উদ্ভব হয়। গান্ধারের নামানুসারে এই শিল্পের নাম হয় গান্ধার শিল্প। বুদ্ধদেবের বিভিন্ন মূর্তি নির্মাণই গান্ধার শিল্পের উপজীব্য। গ্রিক দেব-দেবতার পেশিবহুল দেহের অনুকরণে, বিশেষ করে অ্যাপোলোর অনুকরণে বৌদ্ধমূর্তি নির্মিত হয়েছিল। এক কথায় এই শিল্পের প্রকরণ ছিল গ্রিক, বিষয়বস্তু ছিল ভারতীয়। মূর্তি নির্মাণে শিল্পীদের যথেষ্ট দক্ষতা, সূক্ষ্মতার পরিচয় থাকলেও গান্ধার শিল্প ছিল যান্ত্রিক। শেষ পর্যন্ত এই শিল্প টিকে থাকতে পারেনি।
মথুরা শিল্প:
গান্ধারের বৌদ্ধমূর্তি ভারতীয় চিত্ত তেমন আকর্ষণ করতে পারেনি। অনেকে তাই মথুরা শিল্পকে গান্ধার শিল্পের প্রতিক্রিয়া রূপে দেখেছেন। বিদেশি ভাবধারা সমৃদ্ধ গান্ধার শিল্পের পাশে ভারতীয় ঐতিহ্যে পুষ্ট মথুরা শিল্প স্বাধীন ও সমান্তরালভাবে গড়ে উঠেছিল।
বেঙ্গির (অমরাবতীর) শিল্প:
দক্ষিণ ভারতে কৃষ্ণা ও গোদাবরী নদীর বদ্বীপ অঞ্চলে খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় ও চতুর্থ শতাব্দীর মধ্যে এক পৃথক ভাস্কর্য শিল্প গড়ে উঠেছিল। প্রাচীনকালে এই অঞ্চলকে বেশি বলা হত। এই শিল্পের প্রধান কেন্দ্র ছিল অমরাবতী। এইজন্য এই শিল্প বেঙ্গি বা অমরাবতীর শিল্প নামে পরিচিত। এই শিল্পের বৈশিষ্ট্য ছিল মূর্তিগুলির দেহের অতিরিক্ত দীর্ঘতা ও ক্ষীণতা। মূর্তিগুলির নির্মাণ রীতি যথাযথ ও স্কুল। সাতবাহন রাজা বশিষ্টপুত্র পুলমায়ী ও যজ্ঞশ্রী সাতকর্ণী শিল্পের সম্প্রসারণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
গুপ্তযুগের ভাস্কর্য:
গুপ্তযুগের ভাস্কর্যে মথুরা ভাস্কর্যের মৃন্ময়তা ও বেঙ্গির ভাস্কর্যের ঐশ্বর্যের সমন্বয় ঘটেছিল। গুপ্তযুগের মূর্তিগুলির মুখমণ্ডল ছিল আধ্যাত্মিকতায় উদ্ভাসিত। মূর্তিগুলির মনোভাব প্রকাশে বিভিন্ন আসন ও মুদ্রার পরিব্যাপ্তি লক্ষ করা যায়। গুপ্তযুগের শিল্প প্রতিভা সার্থকতার চরমসীমা স্পর্শ করেছিল। বুদ্ধমূর্তি ও বৌদ্ধধর্মের ধ্যান-ধারণাকে অবলম্বন করেই গুপ্তযুগের শিল্প-ভাস্কর্যের সূত্রপাত হয়। গুপ্তযুগের শিল্প-ভাস্কর্যের কেন্দ্র ছিল মথুরা ও সারনাথ।
রাজপুতানা, গোয়ালিয়র, মালব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের শিল্পকলায় গুপ্তযুগের শিল্প স্থাপত্যের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। বাংলাতেও কিছুটা অন্য আঙ্গিকে এই প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। দক্ষিণ ভারতের বাদামি ও প্যারেলে গুপ্তযুগের শিল্প-ভাস্কর্যের নিদর্শন পাওয়া যায়।
বাংলা:
পাল-সেন যুগের স্থাপত্য:
গুপ্তযুগের পরে প্রাচীন ভারতের শিল্প স্থাপত্য বিকাশে বাংলার পাল-সেন যুগের অবদান অসামান্য। এই আমলের স্থাপত্য ও ভাস্কর্যের নিদর্শনগুলি বাঙালির রুচি ও সৌন্দর্যবোধের পরিচয় দেয়। নবম থেকে দ্বাদশ শতকের মধ্যে পাল ও সেন রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় শিল্প স্থাপত্য বিকাশলাভ করেছিল। এযুগের স্থাপত্য নিদর্শনের ধ্বংসাবশেষ এবং পাথর বা ধাতু-ভাস্কর্যের নিদর্শনগুলি উন্নত কারিগরি দক্ষতা ও শিল্পবোধের পরিচায়ক। ধর্মপালের রাজত্বকালে ধীমান ও বীতপাল নামে দুই অসামান্য প্রতিভাসম্পন্ন শিল্পীর আবির্ভাব ঘটেছিল। তাঁরা গৌড়ীয় শিল্পরীতির প্রবর্তন করেছিলেন। এই আমলের ভাস্কররা কঠিন পাথর খোদাই করে দেবদেবীর মূর্তিতে জীবস্ত দেহের কমনীয়তা এনেছেন। সোমপুরী বিহারের বহির্ভাগে পাথরে খোদিত মূর্তিগুলি উন্নত ভাস্কর্যের নিদর্শন। মন্দির শিল্পেও পালযুগে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছিল।
পালযুগের তুলনায় সেনযুগে মূর্তিশিল্পে অলংকরণের আগ্রহ বেশি দেখা দেয়। পাল-সেন আমলের স্থাপত্য নিদর্শনের মধ্যে পাহাড়পুর ও ময়নামতি মহাবিহারের ধ্বংসাবশেষ, বর্ধমান জেলার ভরতপুরের বৌদ্ধ স্তূপ, বাঁকুড়ার বহুলারা মন্দির প্রভৃতি প্রাচীন বাঙালির স্থাপত্যকলার উৎকর্ষ প্রমাণ করে। পাহাড়পুর, ময়নামতি প্রভৃতি স্থানে মন্দিরের গায়ে যেসব টেরাকোটা বা পোড়ামাটির ফলক আবিষ্কৃত হয়েছে তা প্রাচীন বাংলার পোড়ামাটি শিল্পের অপূর্ব নিদর্শন। এই সময় পুথিচিত্র ও কাঠ খোদাইতেও বাংলার শিল্পীরা যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করেছিল।
উড়িষ্যার শিল্প স্থাপত্য:
গঙ্গ বংশের রাজত্বকালে বৃহত্তর উড়িষ্যায় শিল্প স্থাপত্যের অভাবনীয় বিকাশ ঘটে। মহেন্দ্রগিরি পাহাড়ের ভীমের মন্দির, যুধিষ্ঠির মন্দির ও মুখলিজোশ্বর মন্দির ও কোনারকের সূর্যমন্দির খুবই প্রসিদ্ধ। উড়িষ্যার মন্দিরশৈলী বিকাশে উত্তর ও দক্ষিণ ভারতীয় স্থাপত্য মিলেমিশে এক নতুন রূপ ধারণ করেছে।
দক্ষিণ ভারত:
প্রাচীন ভারতীয় স্থাপত্য ও শিল্প বিকাশের ইতিহাসে দক্ষিণ ভারত ও সুদূর দক্ষিণের রাজ্যগুলির দান অতুলনীয়। চালুক্য, রাষ্ট্রকূট, পল্লব ও চোল যুগের স্থাপত্য ও শিল্পের নিদর্শনগুলি আজও ভারতীয় শিল্পের অন্যতম নিদর্শন রূপে পরিগণিত হয়।
চালুক্য শিল্প স্থাপত্য:
চালুক্য রাজারা বহু মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। রাজধানী বাদামি ও বিজাপুরের ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের বিরাট মন্দিরগুলি চালুক্য স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন। চালুক্যদের বিখ্যাত মন্দিরগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পট্রদলের বিরূপাক্ষ মন্দির, করুভটির মল্লিকার্জুন মন্দির। মুম্বাই-এর কাছে এলিফ্যান্টা দ্বীপের মন্দির পাহাড় কেটে তৈরি করা হয়েছিল। অজন্তা ও হাতিগুহার দেয়ালচিত্রগুলি চালুক্যদের উৎকৃষ্টতম শিল্পকর্মের নিদর্শন।
রাষ্ট্রকূট স্থাপত্য:
রাষ্ট্রকূট যুগের স্থাপত্য রীতির সর্বশ্রেষ্ঠ নিদর্শন অষ্টম শতাব্দীতে ইলোরায় তৈরি বিখ্যাত কৈলাসনাথের মন্দির। গোটা পাহাড় খোদাই করে রাষ্ট্রকূটরাজ প্রথম কৃষ্ণ এটি নির্মাণ করেছিলেন। মন্দিরের গায়ে যে সব মূর্তি খোদাই করা আছে সেগুলির সৌন্দর্য রাষ্ট্রকূট ভাস্করদের কারিগরি দক্ষতার নিদর্শন। ইলোরা, অজন্তা, এলিফ্যান্টা, মালখেদ প্রভৃতি স্থানের অসংখ্য চৈত্যস্থাপত্য ও মন্দির রাষ্ট্রকূট রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত হয়েছিল। এগুলির মধ্যে পাহাড় কেটে তৈরি দশাবতার মন্দিরটি খুবই আকর্ষণীয়। মন্দিরের গায়ে বিভিন্ন পৌরাণিক দেবদেবীর মূর্তি অঙ্কিত আছে।
পল্লব স্থাপত্য:
পাহাড় কেটে মন্দির তৈরি করার রীতি পল্লবদের আমলেই চালু হয়। পল্লব শিল্প ছিল দক্ষিণ ভারতীয় শিল্প-রীতির পথপ্রদর্শক। নরসিংহবর্মনের রাজত্বকালে পাহাড় খোদাই করে মহাবলীপুরমের অপূর্ব রথমন্দিরগুলি তৈরি হয়। রথগুলির গায়ে মহাভারতের কাহিনি অবলম্বনে নানা চিত্র খোদাই করা আছে। মহাবলীপুরমের সৈকত মন্দির এবং কান্টীপুরমের কৈলাসনাথ মন্দির সর্বকালের স্থাপত্য শিল্পের উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত। পল্লব মন্দিরগুলির গায়ে ভাস্কর্যশৈলী অপূর্ব। চূড়াগুলি ধাপে ধাপে শীর্ষে উঠে গেছে। পরবর্তীকালে স্থাপত্যের এই বিশেষ রীতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সুমাত্রা, জাভা, চম্পা প্রভৃতি স্থানের স্থাপত্যে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে।
চোল যুগের স্থাপত্য:
শিব ও বিষ্ণুর উপাসক চোল রাজদাদের আমলে এক নতুন ধরনের মন্দির স্থাপত্যের বিকাশ ঘটে। তাঞ্জোরের বিখ্যাত রাজরাজেশ্বর শিব মন্দির চোল স্থাপত্যের অন্যতম প্রধান নিদর্শন। রাজেন্দ্র চোল নির্মিত গঙ্গাইকোণ্ড- চোলপুরমের মন্দিরের গায়ে মূর্তি ভাস্কর্য, প্রাসাদের ধ্বংসস্তূপের অংশ ও পাথরে বাঁধানো কৃত্রিম হ্রদের ধ্বংসচিহ্ন চোল স্থাপত্য শিল্পের জাঁকজমক ও বিশালত্বের পরিচয় দেয়। চোলযুগের ব্রোঞ্জমূর্তিগুলি এবং তাঞ্জোরের মন্দিরের নটরাজ শিবের ব্রোঞ্জমূর্তিটি বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন করেছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন