পশ্চিমবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চল সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা


■ অবস্থান : 

পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলার অংশ নিয়ে উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলটি গঠিত হয়েছে। দার্জিলিং জেলার কার্শিয়াং, কালিম্পং, দার্জিলিং মহকুমা ও জলপাইগুড়ি জেলার কিছু অংশ উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।



■ ভূপ্রকৃতি : 

উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলটি হিমালয় পর্বতের অংশ। ভূপ্রকৃতি অত্যন্ত বন্ধুর ও পর্বতসংকুল। পার্বত্য অঞ্চলটির গড় উচ্চতা ২০০০-৩০০০ মিটার। এই অঞ্চলে একাধিক গিরিখাত, খাড়াই ঢাল দেখা যায়। তিস্তা নদী এই পার্বত্য অঞ্চলকে দুটি ভাগে ভাগ করেছে।

(i) তিস্তা নদীর পশ্চিমের অংশ : 


তিস্তার পশ্চিম দিকের অঞ্চলটির উচ্চতা তুলনামূলকভাবে কিছুটা বেশি। এই অঞ্চলের পশ্চিম অংশজুড়ে নেপাল সীমান্ত বরাবর রয়েছে উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলের সর্বোচ্চ পর্বতশ্রেণি সিঙ্গালিলা পর্বতশ্রেণি। এই পর্বত শ্রেণিতে বিরাজ করছে পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ সান্দাকফু (৩৬৩০ মিটার)। এই অংশে বিরাজ করছে ঘুম পর্বতশ্রেণি বা পর্বতগ্রন্থি। এই পর্বতগ্রন্থি থেকে তিনটি শৈলশিরা তিনদিকে বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণদিকে বিস্তৃত রয়েছে বাগোরা ডাওহিল শৈলশিরা, উত্তরে দার্জিলিং-লেবং শৈলশিরা এবং কিছুটা উত্তর-পূর্বে রয়েছে তাকদহ-পেশক শৈলশিরা। সান্দাকফু ছাড়াও এই পার্বত্য অঞ্চলে আর কয়েকটি পর্বতশৃঙ্গ রয়েছে। যথা-ফালুট (৩৫৯৫ মিটার), সবরগ্রাম (৩৫৪৩ মিটার), টাংলু (৩০৬০ মিটার) প্রভৃতি।

(ii) তিস্তা নদীর পূর্বের অংশ : 


তিস্তা নদীর পূর্ব দিকের অংশটির উচ্চতা কিছুটা কম। পূর্ব অংশে সিকিম ও ভূটান সীমান্ত বরাবর রয়েছে চোলা শৈলশিরা। এই অংশের দুরবিনদারা পর্বত ও বক্সা-জয়ন্তি পাহাড় বিশেষ উল্লেখযোগ্য। পূর্ব অংশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হল ঋষিলা (৩,১৩০ মিটার)। বক্সা পাহাড়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হল সাংচুলি (১৯১৪ মিটার)।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন