টীকা : মিশরকে নীলনদের দান বলা হয় কেন?

• মিশরকে নীলনদের দান বলা হয় কেন?

ঐতিহাসিক ‘হেরোডোটাস' প্রথম বলেছিলেন মিশর হল নীলনদের দান (“Egypt is the gift of the Nile")। মরুময় মিশরের উপর দিয়ে নীলনদ প্রবাহিত হওয়ায় (i) উর্বর পলল সমভূমির সৃষ্টি হয়েছে, যা কৃষিকার্যের উপযোগী, (ii) জলসেচের প্রসার ঘটানো সম্ভব হয়েছে, (iii) সমতল ভূমিভাগের ওপর দিয়ে সড়ক পরিবহন ও নীলনদের মাধ্যমে জলপথ পরিবহনের সুবিধা হয়েছে, (iv) নীলনদের ওপর গড়ে তোলা বাঁধ থেকে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে, (v) পানীয় জল সরবরাহের ক্ষেত্রে নীলনদের ভূমিকা রয়েছে, (vi) শিল্প বিকাশের ক্ষেত্রেও নীলনদ কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে। সুতরাং মিশরের মানবজীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নীলনদের ভূমিকা থাকার কারণেই বলা হয় মিশর হল নীলনদের দান।

■ পরিবহন :


নীলনদের জলপথ পরিবহনের অন্যতম মাধ্যম। এছাড়াও সড়কপথের বিস্তার ঘটেছে। রেলপথের বিস্তার বিশেষ ঘটেনি। কেপকায়রো মহাদেশীয় রেলপথের মাধ্যমে অঞ্চলটি যুক্ত রয়েছে। বড়ো বড়ো শহরগুলিতে বিমানবন্দর গড়ে তোলা হয়েছে অর্থাৎ আকাশ পথে শহরগুলি যুক্ত রয়েছে। সুয়েজখাল পথ এই অঞ্চলের পরিবহনে বিশেষ সাহায্য করেছে। 

• প্রধান প্রধান শহর ও বন্দর:


কায়রো — নীলনদ অববাহিকা তথা আফ্রিকার অন্যতম শহর ও মিশরের রাজধানী। জনসংখ্যা প্রায় ৫০ লক্ষ। মিশরের প্রধান শিল্প ও শিক্ষা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হল কায়রো। এই শহরে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গড়ে উঠেছে।

আলেকজান্দ্রিয়া — সম্রাট আলেকজান্ডার শহরটি স্থাপন করেছিলেন তাই এরূপ নামকরণ। এটি অতীতে মিশরের রাজধানী ছিল। বর্তমানে মিশরের অন্যতম বন্দর হল আলেকজান্দ্রিয়া।



■ অন্যান্য শহরগুলি হল খার্তুম, আসোয়ান, মালাকল, অ্যাসিত, পোর্ট সৈয়দ, ওয়াদি-হালফা, হেলওয়ান প্রভৃতি।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন