"যা শ্রেষ্ঠ কাব্য তার প্রকৃতিই হচ্ছে বাচ্যকে ছাড়িয়ে যাওয়া"- সহজ ব্যাখ্যা



ব্যাখ্যা

কাব্যের আত্মা অনুসন্ধানে বস্তুবাদীদের সমালোচনা করে ধ্বনিবাদীরা নিজেদের মত প্রতিষ্ঠা করেন। এই ধ্বনিবাদীরা বলেন শ্রেষ্ঠ কাব্য তার বাচ্যার্থকে ছাড়িয়ে পাঠককে অন্য এক গভীর অর্থের ইঙ্গিত দেয়। এই অতিরিক্ত অর্থের ইঙ্গিত বা ব্যঞ্জনাকেই বলা হয় ধ্বনি।

এই ধ্বনি হল কাব্যের আত্মা। যে কাব্য পাঠককে বাচ্যার্থের সীমাবদ্ধতা থেকে অন্য জগতের দিকে যতটা টেনে নিয়ে যেতে সক্ষম অর্থাৎ যে কাব্যের ব্যঞ্জনা বা ধ্বনি যত বেশি, সেই কাব্য ততবেশি সার্থক। তাই কেবল শব্দার্থ জ্ঞান থাকলেই কাব্যরস আস্বাদন করা যায় না। তার জন্য অনুভব ক্ষমতা থাকা দরকার। পরিশীলিত মন থাকা দরকার। কাব্যের বাচ্যার্থ অতিরিক্ত অর্থটি কেউ বলে দেবে না। কাব্য পাঠ এবং কাব্য রস আস্বাদনের অভ্যাস থাকলে সেই অতিরিক্ত অর্থ বা ধ্বনি অনুভব করা যায় আর তখনই কাব্য আস্বাদনীয় হয়ে ওঠে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন