অন্য কারো রচনা বা কাজের অনুলিপি করা বা অন্য কারো মূল ধারণা থেকে ধার করাকে অনেকে চুরি বলে মনে করে থাকেন। কিন্তু অনুলিপি করা এবং ধার করা শব্দ দিয়ে অপরাধের গুরুত্ব প্রকাশ পায়না। মেরিয়াম ওয়েবস্টারের অভিধানের মতে কুম্ভিলক বৃত্তি হল-
১. অন্য কারো ধারণা বা শব্দ চুরি করে তা নিজের বলে চালিয়ে দেওয়া।
২. অরিজিনাল সোর্সকে কোন প্রকার স্বীকৃতি বা কৃতিত্ব না দিয়ে তার থেকে বিষয় চুরি করে তা ব্যবহার করা।
৩. সাহিত্য চুরি করা ।
৪ আগের থেকেই আছে এবং যার স্বীকৃতি রয়েছে এমন উৎস থেকে গৃহীত ধারণাকে চুরি করে সেটিকে মৌলিক বলে উপস্থাপিত করা হলে তা কুম্ভিলকবৃত্তির অন্তর্ভুক্ত হয় ।
কুম্ভিলকবৃত্তি একটি জালিয়াতির কাজ। কারণ এটা অন্যকারো কাজ চুরি করে সেটি সম্পর্কে মিথ্যা বলা হয়। আইন অনুযায়ী কোন রচনা বা সাহিত্য কপিরাইট আইন দ্বারা সুরক্ষিত বলে মনে হয়। সকল রকমের অভিব্যক্তির প্রকাশই কপিরাইট আইনের আওতায় পড়ে। যদি সেটি বই, কোন কম্পিউটার ফাইল ইত্যাদি রকমের পদ্ধতিতে সংরক্ষিত থাকে। নিম্নলিখিত সবগুলোই চুরির আওতায় পড়ে -
১. অন্য কারো কাজকে নিজের বলে চালিয়ে দেওয়া।
২. কোন রকম স্বীকৃতি বা ক্রেডিট না দিয়ে কপি করে নেওয়া।
৩. অন্য কারো বলা কথা বা বক্তব্য ব্যবহারের সময় উদ্ধৃতি চিহ্ন ব্যবহার না করা।
৪. উদ্ধৃতির উৎস সম্পর্কে ভুল ধারণা দেওয়া।
৫. শব্দ পরিবর্তন করে অন্য কোন উৎস থেকে ব্যবহৃত বাক্য চুরি করে ব্যবহার করা।
কীভাবে কুম্ভিলকবৃত্তি থেকে রক্ষা পাওয়া যায় ?
এই প্রশ্নের উত্তর খুবই সহজ। আমরা যখন কোন অন্য উৎস থেকে উদ্ধৃতি নিয়ে থাকি সেক্ষেত্রে আমাদের অরজিনাল সোর্স যথাযথ ভাবে উল্লেখ করতে হবে। চুরি এই শব্দটিকে প্রতিরোধ করার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে কিছু উপাদান ধার করা হয়েছে। এবং সেই উৎস গুলি পাঠক বা শ্রোতাদের খুঁজে পেতে সাহায্য করার জন্য রেফারেন্স উল্লেখ করে নিবন্ধ শেষ করা এবং সবশেষে বিবলিওগ্রাফি সংযোজিত করা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন