'ব্যাঙ্গমা-ব্যাঙ্গমী' অর্থাৎ 'বিহঙ্গম বিহঙ্গমী'। এরা উপকারী পাখি। পশু রূপকথার একটি অতি পরিচিত অভিপ্রায়। কিন্তু ব্যাঙ্গমা-ব্যাঙ্গমী সাধারণ কোনো পাখির থেকে পৃথক। এরা ভবিষ্যতের ঘটনা আগে থেকেই জানতে পারে। পৃথিবীর সমস্ত সমস্যার সমাধান আছে এদের কাছে। মানুষের রক্তে এদের ছানার চোখ ফোটে। উপকারীকে এরা যথাসাধ্য সাহায্য করে। রাজপুত্র ব্যাঙ্গমা ব্যাঙ্গমীর সহায়তায় অনেক জটিল সমস্যার সমাধান করে। রাজপুত্র ভবিষ্যৎ জেনে নিয়ে অগ্রসর হতে পারে। কাহিনীতে সবসময়ই আমরা পাখি দম্পতিকে একসঙ্গেই প্রত্যক্ষ করি।
শুক সারি রূপেও এই কথা বলা পাখিরা বাংলার ছড়া এবং লোকসঙ্গীতে উল্লেখিত হয়েছে। প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্যে যথা বানভট্টের কাদম্বরীতে এই শুকপাখির উল্লেখ আছে। শুকসপ্ততিও একটি প্রাসঙ্গিক উদাহরণ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন