পোস্টগুলি

মে, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সৈয়দ আলাওল ও তাঁর কবিপ্রতিভা | কাব্য কাহিনী ও কাব্য বিচার

ছবি
কবি পরিচিতি: রোসাঙ রাজসভায় যে সকল কবি বর্তমান ছিলেন, তাঁদের মধ্যে অদ্ভুত জনপ্রিয়তায় আলাওল (জন্ম আ. ১৬০৮ খ্রীঃ) ছিলেন শ্রেষ্ঠ। আলাওল তাঁর কাব্যে বিস্তৃতভাবে আত্মপরিচয় দান করেছেন। মুল্লুক ফতেহাবাদের অন্তর্ভুক্ত জালালপুর গ্রামে কবি জন্মগ্রহণ করেন। স্থানটি ফরিদপুর জেলায় হওয়া সম্ভব, আলাওলের পিতা ছিলেন মজলিস কুতুবের অমাত্য। পিতাপুত্র স্থানান্তর যাবার কালে জলদস্যুর হস্তে পড়েন এবং আলাওলের পিতা মৃত্যুবরণ করেন। আলাওল কোনক্রমে রোসঙে উপস্থিত হলেও সভার সদস্য হবার সুযোগ পেলেন না, তিনি অশ্বারোহী সৈন্যদলে ভর্তি হলেন। কিন্তু অত্যল্পকাল মধ্যেই আলাওলের পাণ্ডিত্যের খ্যাতি রটে গেলে তিনি রোসাঙরাজ 'সাদউ মেংদার' বা থদো মিস্তার মুখ্য অমাত্য মহাজন মাগন ঠাকুরের সৌহার্দ্য লাভ করলেন। কবির পৃষ্ঠপোষক মাগন ঠাকুরের অনুরোধে কবি 'পদ্মাবতী কাব্য' রচনা করেন। থদো মিস্তার রাজত্বকাল ১৬৪৬ খ্রী:- ১৬৫২ খ্রীঃ। অতএব এরই মধ্যবর্তী কোন সময়ে কবি আলাওল রোসাঙ রাজদরবারে আশ্রয়লাভ করেছিলেন বলে অনুমিত হয়। অতঃপর আলাওল তাঁর দ্বিতীয় কাব্য সয়ফুল মুলুক বদিউজ্জামাল' রচনা আরম্ভ করেন। ইতোমধ্যে কবির আশ্র...

দৌলত কাজী ও তাঁর কবিপ্রতিভার পরিচয়

ছবি
রোসাঙ-রাজ থিরি-থু-ধম্মা বা 'বুদ্ধাচারী' রাজা শ্রীসুধর্মার 'লস্কর উজীর' আশরফ খানের আদেশে দৌলত কাজী তাঁর ‘সতী ময়নামতী' বা 'লোরচন্দ্রানী' নামক কাব্য রচনা করেন। শ্রীসুধর্মার রাজত্বকাল ১৬২২ খ্রীঃ-১৬৩৮ খ্রীঃ। অতএব কবি দৌলৎ কাজী এই কালেই বর্তমান ছিলেন অনুমান করা যায়। কবি গ্রন্থোৎপত্তির কারণ বর্ণনা-প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে শ্রীসুধর্মার লস্কর উজীর পণ্ডিত প্রধান শ্রীযুক্ত আশরফ খানের সভায় নানা কাব্য পঠিত হতো । তথায় ঠেট হিন্দীতে সাধন-রচিত 'মৈনা-সৎ’কাহিনী শুনে আশরফ খান কবিকে দেশি ভাষায় তা আবার রচনা করতে অনুরোধ করলেন : “ঠেঠা ছোপাইয়া দোহা কহিলা সাধনে।  না বুঝে গোহারী ভাষা কোন কোন জনে।।  দেশী ভাষে কহ তাকে পাঞ্চালীর ছন্দে।  সকলে শুনিয়া যেন বুঝয়ে সানন্দে।।  তবে কাজী দৌলতে সে বুঝিয়া আরতি।  পাঞ্চালীর ছন্দে কহে ময়নার ভারতী।।'' সেনাপতির আদেশে দৌলত কাজী সাধন কবি-রচিত হিন্দী ‘মৈনা সত' কাব্যের বাঙলা অনুবাদ রচনা করেন। সাধন-রচিত কাব্যের অতিক্ষুদ্র এক পুথি আবিষ্কৃত হয়েছে। তা থেকে মনে করা যায় যে দৌলত কাজী মূলের কোন কোন অংশ আক্ষরিক অনুবাদ করেছেন...

নাথ সাহিত্যের উদ্ভব ও ক্রমবিকাশ | কাব্য বিচার | ঐতিহাসিকতা | নাথ সাহিত্যের সম্পূর্ণ পরিচয়

ছবি
নাথ সাহিত্যের অর্বাচীনতা: বাঙলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের আলোচনা-প্রসঙ্গে আমরা দেখেছি, ডঃ দীনেশচন্দ্র সেন যদিও ‘ময়নামতীর গান' এবং 'গোর্খ বিজয়’, নামীয় নাথ-সাহিত্যকে প্রাচীন যুগের অন্তর্ভুক্ত করেছেন, তৎসত্ত্বে এদের স্থান তৎকালে নয়। প্রকৃতপক্ষে এ জাতীয় সাহিত্য বহু পরবর্তীকালেই রচিত হয়েছে। পূর্বোক্ত গ্রন্থগুলিতে প্রধানত মীননাথ, গোরক্ষনাথ, হাড়িপা, কানুপা-আদি সিদ্ধাচার্যদের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। সম্ভবতঃ এঁরা সকলেই ঐতিহাসিক পুরুষ ছিলেন; এই নামীয় কোন কোন সিদ্ধাচার্যের রচনারও সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। [ দ্রষ্টব্য — 'বৌদ্ধগান ও দোহা'।] ভাষা-সাহিত্যের ঐতিহাসিকগণ অনুমান করেন যে এঁরা সম্ভবত খ্রীঃ দশম-একাদশ শতাব্দীতে বর্তমান ছিলেন। কিন্তু তাঁদের জীবিতকালেই যে তাঁদের অবলম্বন করে সাহিত্য রচিত হয়েছিল, তা অনুমান করবার কোন সঙ্গত কারণ নেই। বিশেষত যে কোন প্রাচীন সাহিত্যেরই যখন কিছু কিছু প্রাচীন পাণ্ডুলিপি আবিষ্কৃত হয়েছে, তখন নাথ-সাহিত্যের কোন প্রাচীন পুথির সার্বিক অপ্রাপ্তি বিস্ময়জনক বৈকি। তা ছাড়া প্রাপ্ত পুথিগুলির ভাষায়ও অপেক্ষাকৃত আধুনিকতার লক্ষণ সুপরিস্ফুট। যে পাণ্ডুল...

মহাভারত রচনাকার কাশীরাম দাসের কৃতিত্ব বিচার | Mahabharata Composer Kasiram Das and His Achivements

ছবি
বাং লা ভাষায় রচিত রচিত মহাভারতগুলির মধ্যে কাশীরাম দাসের মহাভারতই সম্পূর্ণতা এবং সার্থকতা লাভ করেছে। সাধারণভাবে কাশীরাম দাসী মহাভারত ব্যাস-মহাভারতের অনুসরণে রচিত হ'লেও এতদুভয়ের মধ্যে পার্থক্যও বড় কম নয়। উভয়ের পর্ব-সংখ্যা সমান হ'লেও পর্বের নাম পার্থক্য বর্তমান। কাশীরাম দাসে 'গদাপর্ব' যা ব্যাসভারতে নেই, আবার ব্যাসভারতের 'অনুশাসন পর্ব' কাশীরামে অনুপস্থিত। ব্যাস-ভারতের 'মহাপ্রস্থান' ও 'স্বর্গারোহণ পর্ব' একত্রে কাশীদাসী ভারতে স্বর্গারোহণ পর্ব রূপে রচিত হয়েছে। এ ছাড়া পর্বগুলির মধ্যেও কিছু ইতরবিশেষ হয়েছে। কাহিনীর দিক থেকে বলা চলে, কাশীদাসী মহাভারত মোটামুটিভাবে ব্যাস-ভারতের অনুসরণ করলেও কোন কোন স্থলে গ্রহণ ও বর্জনের নীতি গ্রহণ করেছে। দৃষ্টান্ত-স্বরূপ উল্লেখ করা চলে যে কাশীদাসী মহাভারতে ব্যাস-ভারতের বিদুলার তেজস্বিতার কাহিনী, রুরু প্রমদ্বরার উপাখ্যান এবং উপরায়ণ ব্রাহ্মণের শত্রুযজ্ঞ' আদি কতগুলি মনোহর কাহিনী একেবারে বর্জিত হয়েছে। আবার এতে ‘শ্রীবৎস চিন্তার কাহিনী, অকালে আম্রোৎপত্তির বিবরণ, জনা-প্রবীরের কাহিনী, ভানুমতী ও লক্ষ্মণার স্বয়ংবর’-আদি ক...

বাংলা ইন্টারভিউতে আসা কিছু প্রশ্নের উদাহরণ • WBCSC | WBPSC | WBSSC Bangla Interview Tips

ছবি
বাংলা বিষয়ের পরিধি ছোটো নয়। ফলে সমুদ্র সমান সিলেবাসের যেখান থেকে খুশি প্রশ্ন আসতে পারে। তবে কিছু প্রশ্ন যেগুলি বার বার করা হয়ে থাকে, তারমধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উদাহরণ দেওয়া হল। ১. তোমার নাম কী? ২. তোমার নামের অর্থ কী? ৩. তোমার সম্পর্কে কিছু বলো যা আমাদের জানা নেই, অর্থাৎ এগুলো বাদ দিয়ে। ৪. পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নবম শ্রেণি থেকে একাদশ শ্রেণির মধ্যে বাংলা সিলেবাসের অন্তর্গত যে-কোনো একটা বিষয়ের ওপর ৫ মিনিটের মধ্যে একটি ডেমো দাও । ৫. বর্তমান যুগে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের চাহিদা ও প্রাধান্য দুই-ই বেশি, সেই যুগে বাংলার শিক্ষক হিসেবে তোমার করণীয় কী? ৬. এত বিষয় থাকতে বাংলা পড়লে কেন ? ৭. WBCS বা অন্য কিছু না ভেবে শিক্ষক হওয়ার কথা কেন ভাবলে? ৮. এরপর কলেজের শিক্ষকতা বা অন্য কোনো আরও ভালো চাকরি পেলে এই চাকরি কি ছেড়ে দেবে? ৯. MA পড়ার সময় Special paper কী ছিল? ১০. বর্তমান যুগে মঙ্গলকাব্য কতটা প্রাসঙ্গিক ? ১১. এমন একটা গল্পের নাম বলো যেটা সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করতে চাও? কেন ? ১২. সাম্প্রতিককালের কোন্ লেখক অথবা লেখিকার লেখা তোমার সবথেকে ভালো লাগে? কেন? ১৩. শেষ কোন গল্প বা...

বাংলা ইন্টারভিউয়ের জন্য কী কী পড়বেন? • WBCSC | WBPSC | WBSSC Bangla Interview Tips

ছবি
ইনটারভিউয়ের যে কোনো নির্দিষ্ট সিলেবাস নেই তা আমাদের প্রত্যেকের জানা। যে-কোনো ক্ষেত্র থেকেই প্রশ্ন করা হতে পারে। কোন ক্ষেত্র থেকে আপনাকে প্রশ্ন করা হবে তা নির্ভর করছে প্রশ্নকর্তার ওপর। তবে যে পরীক্ষার্থী যে বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছেন সেই বিষয় থেকে কিছু প্রশ্ন করা হবে এটা আশা করাই যায়। যদিও দু-এক ক্ষেত্রে সামান্য কয়েকটা সৌজন্যমূলক প্রশ্ন করেই ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। ইনটারভিউ বোর্ডে প্রশ্নকর্তারা যথেষ্ট সহযোগিতা করে থাকেন। যারা ইনটারভিউ দিচ্ছেন তাঁরা বিষয়গত পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু সাধারণ জিনিসও আয়ত্ত করে রাখবেন। এখন এঝলকে দেখে নিন, কোন্ কোন্ বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে আপনাকে- আপনার নামের অর্থ এবং ব্যাকরণগত কিছু দিক যেমন— সন্ধি, সমাস, প্রত্যয় ইত্যাদি। আপনার নামে বাংলা সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য কোনো চরিত্র আছে কিনা, থাকলে তা কোন্ রচনায় আছে? ইত্যাদি। বাংলা নিয়ে কেন পড়লেন। এক্ষেত্রে কোনো বই থেকে মুখস্থ করা উত্তর কাম্য নয়। উত্তর দেবেন নিজের অনুভূতি আর যুক্তি দিয়ে। শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন কেন? এক্ষেত্রেও উত্তর দেবেন নিজের অনুভ...

বাংলা ইন্টারভিউ সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস্ • WBCSC | WBPSC | WBSSC Bangla Interview Tips

ছবি
ইনটারভিউ প্রস্তুতি: ঘুম থেকে উঠেই শরীর ও মনকে আগে সতেজ করে নিন। মনের মধ্যে যেন কোনোরকম টেনশন বা উদ্-বেগ না থাকে। মনে রাখবেন উদবেগ বা চাপা টেনশন থাকলে আপনি বোর্ডের সামনে নিজের বক্তব্য ঠিকমতো প্রকাশ করতে পারবেন না। মন তাজা রাখতে হালকা একটু প্রাণায়াম বা যোগাভ্যাস করে নিতেও পারেন। পোশাক ও সাজসজ্জা: ইনটারভিউ দিতে যাওয়ার সময় আপনার পোশাক হবে রুচিশীল। কেমন পোশাক পরবেন? এক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ, ছেলেরা সাদা বা হালকা রঙের জামার সঙ্গে কালো প্যান্ট পরতে পারেন। মহিলাদের জন্য যথাযথ হবে রুচিসম্মত শাড়ি। হাতে উভয়েই ঘড়ি ব্যবহার করবেন। হাতে বা গলায় কোথাও কোনো তাবিজ বা মাদুলিজাতীয় কিছু ব্যবহার করবেন না। অধিকমাত্রায় গহনা ব্যবহার করাও উচিত হবে না, একান্তই করতে হলে অতি সামান্য। ইনটারভিউ সেন্টারে পৌঁছোনো: ইনটারভিউ সেন্টারে আপনার উপস্থিতির সময় হিসেব করে অন্তত এক ঘণ্টা আগে বাড়ি থেকে বেরোনো উচিত। বাড়ি থেকে এক্সাম সেন্টার যাওয়ার সময় অবশ্যই দু-তিনটি নিউজ পেপারে চোখ রাখুন। কাজে দিতে পারে। যথাসময়ে এক্সাম সেন্টারে আপনার উপস্থিতি জানান দিন। আপনার চালচলন ও আচরণ হোক মার...

ডেমো ক্লাস কীভাবে নিতে হয়? | How to prepare for class demonstration?

ছবি
ডে মো ক্লাস নিয়ে অনেক আলোচনা হয়তো আগেও শুনে থাকবেন। স্কুল ও কলেজে শিক্ষকতা করার স্বপ্ন পূরণ করতে হলে ক্লাস ডেমনস্ট্রেশনে আপনার যোগ্যতার পরিচয় আপনাকে দিতেই হবে। ফলে এর জন্য আপনাকে খুব ভালো ভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। ডেমো ক্লাস নিয়ে আলোচনার পূর্বে আমরা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনাদের জানিয়ে রাখি।   মনে রাখবেন: ১. সবার প্রথমে সিলেবাস সম্পর্কে ভালো করে জেনে নেবেন। ২. সিলেবাস অনুযায়ী একটা গদ্য ও একটা পদ্য বেছে নেবেন। যেগুলি আপনি সবচেয়ে ভালো পড়াতে পারবেন। ৩. আপনার বেছে নেওয়া গদ্য বা পদ্যের লেখক ও কবি পরিচিতি ও তাদের লেখা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ সম্পর্কেও প্রাথমিক ধারণা আপনার থাকতে হবে। ৪. মোটামুটি ৮-১০ মিনিট সময়ের মধ্যে আপনাকে ডেমো ক্লাস শেষ করতে হবে। সেইমতো করেই নিজেকে তৈরি করবেন। ডেমো ক্লাসের জন্য তৈরি হবেন কীভাবে? আগে যা যা বলা হয়েছে সেগুলি ভালো করে মনে রাখবেন। বি.এড পড়ার সময় সিমুলেশন টিচিং এ আমরা যেভাবে পূর্বজ্ঞান, পাঠ পরিচিতি, ব্যাখ্যাকরণ, প্রশ্নকরণ, উদাহরণ প্রদান, বোর্ড ওয়ার্ক করতে শিখেছিলাম, ঠিক সেইভাবেই তৈরি করতে হবে ডেমো। তবে খুব অল্প ...