প্রিয়তমাসু কবিতার নামকরণের সার্থকতা ও কবিতায় বর্ণিত স্বদেশপ্রীতি
প্রিয়তমাসু কবিতার নামকরণের সার্থকতা যেকোনো সাহিত্যের নামকরণ নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ সাহিত্যের মর্মবস্তু তার শিরোনামের মধ্য দিয়েই পাঠকের কাছে প্রাথমিকভাবে উন্মোচিত হয়। তবে সেই নামকরণের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট থাকে। প্রিয়তমাসু কবিতাটির মধ্যে উদ্ভাসিত সেই প্রেক্ষাপটের আলোকে কবিতাটির নামকরণের যাথার্থ্য অনুধাবন করতে হবে। প্রিয়তমাসু কবিতাটি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ঘুম নেই কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত। ফলে প্রাথমিকভাবে এটা বোঝাই যায় যে তার কাব্যগ্রন্থের মূল সুরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কবিতাটি সংকলিত হয়েছে। আর এটা খুব সহজেই অনুমেয় যে, ওই কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত প্রিয়তমাসু কবিতাটিতে কবির উদ্বেগপূর্ণ দুর্ভাবনার চিত্র বা মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ লক্ষ করা যায়। আলোচ্য কবিতাটির আঙ্গিক অভিনব। এই কবিতাটিকে পত্রকাব্যের অন্তর্ভুক্ত করা যায়। কবিতাটির বক্তব্য বিষয় একটি চিঠির প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে। কবি এই কবিতাটিতে প্রবাসী এক সৈনিকের মনোবাসনা ব্যক্ত করেছেন তার প্রেয়সীকে লেখা এই পত্রের মাধ্যমে। আর সেই মনোবাসনার প্রেক্ষাপটটি হল এক বিশেষ সময়ের পটভূমি। দ্বিতীয় ব...