পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রিয়তমাসু কবিতার নামকরণের সার্থকতা ও কবিতায় বর্ণিত স্বদেশপ্রীতি

ছবি
প্রিয়তমাসু কবিতার  নামকরণের সার্থকতা যেকোনো সাহিত্যের নামকরণ নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ সাহিত্যের মর্মবস্তু তার শিরোনামের মধ্য দিয়েই পাঠকের কাছে প্রাথমিকভাবে উন্মোচিত হয়। তবে সেই নামকরণের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট থাকে। প্রিয়তমাসু কবিতাটির মধ্যে উদ্ভাসিত সেই প্রেক্ষাপটের আলোকে কবিতাটির নামকরণের যাথার্থ্য অনুধাবন করতে হবে।  প্রিয়তমাসু কবিতাটি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ঘুম নেই কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত। ফলে প্রাথমিকভাবে এটা বোঝাই যায় যে তার কাব্যগ্রন্থের মূল সুরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কবিতাটি সংকলিত হয়েছে। আর এটা খুব সহজেই অনুমেয় যে, ওই কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত প্রিয়তমাসু কবিতাটিতে কবির উদ্বেগপূর্ণ দুর্ভাবনার চিত্র বা মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ লক্ষ করা যায়। আলোচ্য কবিতাটির আঙ্গিক অভিনব। এই কবিতাটিকে পত্রকাব্যের অন্তর্ভুক্ত করা যায়।  কবিতাটির বক্তব্য বিষয় একটি চিঠির প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে। কবি এই কবিতাটিতে প্রবাসী এক সৈনিকের মনোবাসনা ব্যক্ত করেছেন তার প্রেয়সীকে লেখা এই পত্রের মাধ্যমে। আর সেই মনোবাসনার প্রেক্ষাপটটি হল এক বিশেষ সময়ের পটভূমি। দ্বিতীয় ব...

ঘোড়সওয়ার কবিতার সম্পূর্ণ বিষয়বস্তু ও আধুনিকতার লক্ষণ

ছবি
ঘোড়সওয়ার কবি বিষ্ণু দে'র অসাধারণ সার্থক একটি কবিতা। কবিতাটির মধ্যে বৈপ্লবিক পটভূমিকা নির্মাণ করেছেন কবি। কবি চিত্তের অভিপ্রায় অজস্র সুখ ও সীমাহীন ভালোবাসা দিয়ে গড়া শোষণমুক্ত নতুন এক পৃথিবীর জন্ম হবে। বুর্জোয়া শ্রেণি জন জোয়ারের আতঙ্কে আতঙ্কিত। শুনেছে তারা জনসমুদ্রের জোয়ারের পদধ্বনি। সমাজব্যবস্থাটা চোরাবালির ন্যায় ভিত্তিহীন। সেই পুরাতন ব্যবস্থাকে ভেঙে নতুন করে গড়ে তোলার একটি অভিপ্রায় কবি চিত্তে জেগে উঠেছে। আলোচ্য কবিতায় যে দূর দেশের বিশ্ব বিজয়ী দীপ্ত ঘোড়সওয়ারের অশ্বক্ষুরধ্বনি বার বার শোনা যায়, সে হল বিপ্লবের পথে মুক্তির প্রতীক। বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা কবির মতে - "চোরাবালির মতো ভিত্তিহীন। ঢেউয়ের ঘোড়ায় চড়ে বিপ্লবরূপী রাজপুত্র আসছে বন্ধ্যাত্বের শৃঙ্খলে বন্দিনী চোরাবালিকে উদ্ধার করতে।" ঘোড়সওয়ার কবিতায় যে সমুদ্রের কথা বলা হয়েছে, তা সাধারণ প্রাকৃতিক সমুদ্র নয়। তা হল জনসমুদ্র। ঘোড়সওয়ারও এখানে এক দেশনায়কের প্রতীকী চরিত্র। বিপ্লব আসবে বন্ধ্যা রক্ষণশীল সমাজের বুকে। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন মানুষের প্রস্তুতি। সেই প্রস্তুতির জন্য বৈপ্লবিক ভাবনার উজ্জীবন...